''ক্রিকেট'' শব্দটি একটি ফরাসি শব্দ। ব্যাট-বলের এই খেলাটি অনেক আগে থেকেই (সঠিক সময় জানা যায় নি) ফ্রান্সের সমুদ্র উপকূলের দিকে শিশুদের খেলা ছিল। এই খেলাটি একই সাথে ইংল্যান্ডেও জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং ক্লাব ভিত্তিক খেলার প্রচলন শুরু হয়। ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্ক এর ব্লুমিংডেল পার্কে ১৮৪৪ সালে। প্রথম খেলায় কানাডা যুক্তরাষ্ট্রকে ২৩ রানে হারায়। ১৯০০ সালের সামার অলিম্পিকে ফ্রান্স বনাম ব্রিটেন খেলা হয়। ১৯০৯ সালে ব্রিটেন তার হুকুমের গোলাম দুটি দেশ তথা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিন আফ্রিকাকে নিয়ে ''Imperial Cricket Conference'' গঠন করে। ''Imperial Cricket Conference'' পরবর্তীতে শুধুমাত্র Commonwealth ভুক্ত দেশগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ক্রিকেটের সমস্ত নিয়মকানুন তৈরি করত ব্রিটেন, আর Imperial Cricket Conference এর বাকি সদস্যগুলো তা মাথাপেতে মেনে নিত। যেহেতু ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র Commonwealth ভুক্ত ছিল না সেহেতু তারা Imperial Cricket Conference এর সদস্য হওয়ার যোগ্যতা হারায়। বাকি দেশ যেমন কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী ও ফ্রান্সের মাঝে সেতুবন্ধনের অভাব থাকায় তারা বিকল্প সংগঠন তৈরি করতে ব্যার্থ হয়। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী ও ফ্রান্স তারপরও ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যায়। যদিও বলা হয় ক্রিকেটে দীর্ধসময়ের প্রয়োজন হয় বলে খেলাটি ৪ টি দেশে জনপ্রিয়তা হারায় কিন্তু কথাটি আংশিক সত্য। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র খেলটির প্রতি ঝোক হারায় মূলত জোটের সদস্য হতে না পারায় উপরন্তু এই দুটি দেশে কর্মজীবী মানুষের মাঝে বেসবল খেলার জনপ্রীয়তা বাড়ায় ক্রিকেটের মৃত্যু ঘটে। জোটের প্রতি হিংসার বসবতী হয়ে ফ্রান্স খেলা ছেড়ে দেয়। হিটলার নিজে ক্রিকেট খেলতেন এবং খেলার নিয়মকানুনে তিনি পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। যেহেতু নিয়মকানুনের মূল কতৃত্ব ছিল ব্রিটেনের হাতে সেহেতু তার প্রস্তাবের কোন মূল্য ক্রিকেটে থাকত না। এতে করে হিটলারের আত্নসম্মানে আঘাত লাগে। এক সময় একটি ক্রিকেট ম্যাচে দীর্ঘসুত্রিতার অজুহাত দিয়ে জার্মান থেকে খেলাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন।
[উল্লেখ্য, ওয়েষ্ট ইন্ডিজের লোকজন কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় প্রথমদিকে তারা স্বেতাঙ্গদের সাথে খেলতে পারত না। তারা শুধু বল কুড়িয়ে আনার কাজ করত। একসময় তারা স্বেতাঙ্গদের প্রাকটিস সেসনে বোলিং করার অনুমতি পায়। ]
No comments:
Post a Comment